Sundarban package tours - 2021 - 2022

Sundarban Package tours from Dhaka on every Thursday night by train or Scania Volvo bus or every Wednesday by Paddle wheel rocket steamer cruise to Hularhat then car drive to Mongla via Bagerhat or Khulna / Mongla on every Friday morning.

বাঘের বাড়ি সুন্দরবনে বাংলাদেশ অভিযান



বাঘের বাড়ি সুন্দরবন

ছুটি বা অবসরে ঘুরে বেড়াতে একটু নিরিবিলি পরিবেশ চান অনেকেই কিন্তু কোথায় যাবেন, কিভাবে যাবেন এ ভেবে হয়তো আর যাওয়া হয়নি কোন  সুন্দর স্থানে । এদেশেরই একটি অংশ সুন্দরবন । যার নাম শুনলে রোমাঞ্চিত হন সবাই । এর নৈসর্গিক সৌন্দর্য যারা উপভোগ করেছে তাদের কাছে জানা গেছে যে এক বারে নয় অধিকাংশ ঋতুতে ছয় / সাত বার অভিযানে গিয়েও সুন্দরবন  দেখার তৃপ্তি মিটেনি ।আর যারা উপভোগ করেননি তারা বঝতেও পারবেন না প্রকৃতি কতটা উদার হাতে তৈরী করেছে এ বন । যেখানে লবন জলের জঙ্গলে বিচরণ করে একদল সংগ্রামী জীবজন্তু ।
এসব জীবজন্তু ও তাদের পদচিহ্ন খুজেঁ বেড়ানোও হতে পারে আপনার জন্য রোমাঞ্চকর । পাখি প্রেমিকদের জন্য এটি বিশেষ স্থান আর রয়েছে রহস্যময় ডলফিনের অভয়ারণ্য যা কিছু লোকের জন্য বিশেষ অভিযান হতে পারে।
সুন্দরবন যেহেতু রিসার্ভ বা সংরক্ষিত বন – তাই বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে হয় । 

এছারাও কিভাবে যাবেন কোথায় থাকবেন, খাবার পাবেন কেমন করে, আপনার দেখাশুনা, বন দেখানো কিভাবে হবে ইত্যাদি বিষয় গুলি নিয়ে না ভাবলেও চলবে ।
অনেকে আছেন যারা সুন্দরবন অভিযানের জন্য বিশেষ বোট বা লঞ্চ তৈরী করে প্যাকেজ ট্যুর দিচ্ছে । কিন্তু একটা বিষয় লক্ষনীয় যে একজন বোট মালিকের ২০ জন থাকা-খাওয়া সহ সব ব্যাবস্থা আছে কিন্তু আপনারা মাএ ১৫ জন এক্ষেএে বোট মালিক কিন্তু যেভাবেই হোক তার প্যাকেজটাই বিক্রী করছে এদিকে আপনি প্যাকেজ ট্যুরে গেলেও ঐ তারিখে আগে থেকে বুকিং না দিলে আর যেতে পারছেন না ।
আপনার ট্যুর কম খরচে ভাল কোন বোট বা লঞ্চে নেওয়ার জন্য অভিজ্ঞ ট্যুর অপারেটরের সাথে হওয়া উচিত যাদের কয়েকটা বোট বা সুন্দরবন অভিযানে অভিজ্ঞ ।
বাংলাদেশ এক্সপেডিশন্স একটি বিশ্বস্থ প্রতিষ্ঠান যারা ২০০১ সাল থেকেই সুন্দরবন অভিযানের ব্যাবস্থা করে আসছে ।
আমাদের আছে ১০জন, ২০জন ও ৩৫জনের ৬৫ জন অতিথির থাকার  ব্যবস্থা যা বিশেষভাবে তৈরী বোটের পার্টনার এবং আরও আছে ৪৫ জনের সুবিধাসহ বোটের সোল এজন্ট ।
সুন্দরবন দেখলে যত আগে বুকিং দিবেন ততো ভাল সুবিধা পাবেন আর যারা একটা বোট ভাড়া সুবিধাসহ নেবেন তাদের উচিত অনেক আজেই বুক করা ।

কি কি আছে সুন্দরবনে নিশ্চই বাঘ 

চারশত পঞ্চাশটি ছোট বড় নদ-নদী নিয়ে সুন্দরবন । যার মোট আয়তন ৬০০০ বর্গকি.মি. ও বেশী এবং এর এক তৃতীয়াংশ  জল । পৃথিবীতে মোট ৫০ রকমের মেনগ্রোভ প্রজাতির আছে এবং এবং এই সুন্দরবনেই রয়েছে ২০ প্রজাতির মেনগ্রোভ এবং ৩৩8 প্রজাতির গাছপালা যা বিশ্ব ঐতিঐে প্রথমে রয়েছে সুন্দরবন । পাখি প্রেমিকদের জন্য রয়েছে  প্রজাতির পাখি, ফটোগ্রাফারদের জন্য রয়েছে বনের অপার রুপ- বৈচিএ ।
এছারাও রয়েছে ১৪ প্রজাতির সরিসৃপ, ৪২ প্রজাতির বন্য প্রাণী, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি সহ ২৬০ প্রজাতির মাছ ও ৯ প্রজাতির ডলফিন যা একজন জীব বিজ্ঞানীকে দিবে জীব-বৈচিএের এক অসাধারন ল্যাবরেটরী ।

কি কি দেখবেনঃ
সুন্দরবনের চারদিকের সবুজ আপনাকে মোহাচ্ছন্ন করে রাখবে । জাহাজে বসেই শুনতে পাবেন পাখিদের কল- কাকলী, বন্য পশুর ডাকাডাকি, দেখতেও পাবেন কুমিরের জলকেলি বনের ভিতরে চিএা হরিণের ঝাঁক, বানর, ভোদর, শুকর, বন মোরগ সহ  জঙ্গলের নানা পশু-পাখি আর ভাগ্য ভাল হলেই দেখা পেয়ে যেতে পারেন বনের রাজা বেঙ্গল টাইগারের ।

বেড়ানোর সঠিক সময়ঃ
সুন্দরবন দেখার সঠিক সময় হলো অক্টোবর থেকে মার্চ । আমরা এই সময় প্রতি শুক্রবার প্যাকেজ আয়োজন করে থাকি যা সুন্দর জাহাজে খুলনা  অথবা মংলা থেকে শুরু হয় ।
আপনি চাইলে ঢাকা থেকে শীতাতাপ বিলাশ বহুল বাস বা ট্রেনের টিকেটও দিতে পারি ।
যারা জাহাজ পুরুটাই নিজেদের লোক নিয়ে ঘুরতে চান তো অনেক আগেই বুক করে নেন ।

ট্যুর সূচী
১ম দিনঃ রাতে ঢাকা থেকে এসি বাসে বা রেলগাড়ী করে খুলনা অথবা মংলার পথে যাএা ।

২য় দিনঃ খুব ভোরে জাহাজে উঠে বনের উদ্দেশ্যে রওনা । সারাদিন বনের ভিতর দিয়ে চলতে চলতে বিকালে জাহাজ সুন্দরী খালের নৈসর্গীক সৌন্দর্য উপভোগ করে পরন্ত বিকালে কটকায় থামবে আর তারাতারি বনে ঢুকবো কাঠের তৈরী অভজারবেশন টাওয়ারে বসে এক জাঁক হরিণ দেখবো যেখানে বনের মাঝে ঘাস খায় ।

৩য় দিনঃ এই দিন খুব ভোরে ছোট নৌকায় চড়ে কটকা খালে খুব কাছে থেকে বন ও জীবজন্ত দেখার ব্যাবস্থা করা হবে । সকালে নাস্তার পর কটকা অফিসের পাশ দিয়ে বনে ঢুকে যাব আর পথে পেয়ে যাব কয়ক দলে হরিণ ও সাথে বানর কিছু দূর যাওয়ার পর টাইগার হিল পাব এই স্থানটাতে বর্ষায় বাঘ শিকার করার পর খায় তারপরে ভয় ভয় মনে হেতাল বনের ভিতর দিয়ে  আবার জাহাজে ফিরে আসবো ।
চা স্ন্যাক্স খাওয়ার পর দেড় ঘন্টা হাটবো বনের ভিতর দিয়ে জামতলা সমুদ্র সৈকতে সাবধানে গোসল বা হাটার পর আবারও ফিরে আসবো জাহাজে এবং তখনই জাহাজ ছাড়বে কচিখালী বন্য-প্রাণী অভয়ারণ্যে ইতিমধ্যে দুপুরের খাবার শেষে খালের দুই পাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে আড়াই ঘন্টায় পৌছাব কচিখালী যেখানে ঘাস বনে অনেক হরিণ ওশুকর দেখা যায় । সন্ধা হওয়ার ১ ঘন্টা আগে কচিখালী খালে ছোট নৌকায় ঘুরবো কাছে থেকে উপভোগ করতে বন্যপ্রাণী ও পাখিদের কল- কাকলী পরে আবারও জাহাজ রওয়ানা হবে হরিণটানা বন অফিসের সামনে নোঙ্গর করে ঘুমাতে ।

৪র্থ দিনঃ এই দিন সুন্দরবনের সবচেয়ে আকর্ষনীয় আকাঁ-বাকাঁ চ্যানেলে ৩ঘন্টারও বেশী সময় ধরে জাহাজে বসে পশু-পাখি এবং কুমিরের জলকেলি দেখতে দেখতে হাড়বাড়িয়া বন্য পশু অভয়ারণ্যে কাঠের তৈরী পথে হটবো আর দেখবো বাঘের পায়ের চিহ্ন তারপর ফিরব খুলনার উদ্দেশ্যে রাতের বাসে বা ট্রেনে ঢাকার উদ্দেশ্য অথবা করমজাল কমিরের প্রজন্বন কেন্দ্র ঘুরব যারা মংলা থেকে নন এসি বাসে ফিরবেন ।

জনপ্রতি খরচ - ৮৫০০ থেকে ১২৫০০ টাকা ( খুলনা থেকে )

জনপ্রতি খরচ - ৯৫০০ থেকে ১৫,৫০০ টাকা ( ঢাকা থেকে এসি বা নন এসি বাসে এবং জাহাজের মান অনুযায়ী )

কি কি সঙ্গে নেবেন ?
অতিরিক্ত পরিধেয় কাপড়, কেডস, হ্যাট বা ক্যাপ, প্রয়োজনীয় ঔষধ, বই, বাইনোকুলার, ক্যামেরা ইত্যাদি ।

কি কি সতর্কতা মেনে চলতে হবে ?
১. কোন উদ্ভদ ও প্রাণী ধ্বংস, সংগ্রহ বা অঙ্গহানী করা যাবে না
২. বিপন্ন প্রজাতি ও প্রাণীজ দ্রব্য বেচা-কেনা থেকে বিরক্ত থাকুন ।
৩. বন্য প্রাণীর বিরক্তি উৎপাদন না করে ছবি তুলুন ।
৪. যেখানে সেখানে বোতল বা ব্যার্জ ফেলবেন না ।


বাংলাদেশ অভিযান ( Expeditions ) এর অন্যান্য প্যাকেজ সমূহঃ
১. সুন্দরবন ট্যুর – হিরোন পয়েন্ট ও কটকা ( ৩ দিন / ৪ রাত )
২. সিলেট ও শ্রীমঙ্গল প্যাকেজ প্রাইভেট কার / ট্যুরিষ্ট বাস দিয়ে ( ৩ দিন / ২ রাত )
৩. সিলেট ( বিসনাকান্দী ও জাফলং ) এবং শ্রীমঙ্গল ( ৪ দিন / ৩ রাত )
৪. শ্রীমঙ্গল অভিযান প্রাইভেট কার দিয়ে অথবা ট্রেনে ( ২ দিন / ১ দিন )
৫. রাঙ্গামাটি ও বান্দরবন ট্যুর প্রাইভেট এসি গাড়ী করে ( ৪ দিন / ৩ রাত )
৬.  রাঙ্গামাটি ও বান্দরবন ট্যুর এসি বাস ও জীপ দিয়ে ( ৪ দিন  / ৫ রাত )
৭. বান্দরবন ( বগালেক ও কিওক্রেডং পর্বত ) এসি বাস ও জীপ করে ( ৩ দিন / ৪ রাত )
৮. বান্দরবন ( নিলগিরী ও রুমা ) উড়োজাহাজ ও এসি কার ( ৩ দিন / ২ রাত )
৯. খাগরাছড়ি ( সাজেক ) প্যাকেজ বাস ও জীপে ৩ দিন / ৪ রাত
১০. বান্দরবন ও কক্স বাজার – এসি বাস ও এসি ট্যুরিষ্ট বাস ( ৪ দিন /৫ রাত )
১১. কক্স বাজার – মহেশখালী ও ইনানী – এসি ভলভো বাস ( ২ দিন / ৩ রাত )
12. কক্স বাজার ও সেন্ট মার্টিন - এসি ভলভো বাস ( ৪ দিন / ৫ রাত )
13. সেন্ট মার্টিন দ্বীপ - এসি  বাস ( ২ দিন / ৩ রাত )
14. রাজশাহী – চাপাঁই নবাবগঞ্জ – বগুরা – প্রাইভেট ট্যুরিষ্ট বাস ( ৩ দিন / ২ রাত )
15. ঢাকা ও আশেপাশে – নৌকা বা জাহাজে পিকনিক সারাদিন – ২জন থেকে ২৫০ জন

বাংলাদেশের বাইরে যে সমস্ত স্থানে আমরা অল্প খরচে ভাল ট্যুর প্যাকেজ দিতে পারি এখানে শুধু সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিলাম –
১. দারজিলিং – মিরীক – শিলিগুরী এসি বাস ও জীপে ( ৪ দিন / ৫ রাত ) – জনপ্রতি ১৫০০০ টাঃ
২. শিলং ও চেরাপুঞ্জি এসি বাস ও জীপে ( ৪ দিন / ৫ রাত ) – জনপ্রতি ১৬৫০০ টাঃ
৩. ডিল্লী – আগ্রা – জয়পুর – আজমীর – ( ৯ দিন / ১০ রাত ) – ডিলাক্স জনপ্রতি ৪১,০০০ টাঃ
৪. ডিল্লী – শিমলা – মানালী প্যাকেজ  – ( ৯ দিন / ১০ রাত ) – ডিলাক্স জনপ্রতি ৪2,০০০ টাঃ
৫. কাশমীর প্যাকেজ – ( ৯ দিন / ১০ রাত ) – ডিলাক্স জনপ্রতি ৪৩,০০০ টাঃ
৬. ভুটান – দারজিলীং সড়কপথে – ( ৭ দিন / ৮ রাত ) – ডিলাক্স জনপ্রতি ৪৫,০০০ টাঃ
৭. ভুটান বাই এয়ার ( ৫ দিন / ৪ রাত )
৮. নেপাল ( কাঠমন্ডু ও নাগরকোট ) বাই এয়ার ( ৩ দিন / ২ রাত )
৯. নেপাল ( কাঠমন্ডু ও পোখারা ) বাই এয়ার ( ৫ দিন / ৪ রাত )
১০. থাইলেন্ড প্যাকেজ ( ব্যাংকক ও পাতায়া ) – ৫ দিন জনপ্রতি – ৫৫,০০০ টাকা
১১. ইউরোপের ৪ দেশ ৮ দিন সবসহ জনপ্রতি – ৩ লক্ষ টাকা

আমরা দেশে ও দেশের বাইরে সবকিছুসহ প্যাকেজ আয়োজন করে থাকি ।
আপনারা ২জন থেকে শুরু করে ৮০জন এক  সাথে অভিযানে আসতে পারেন তবে লোক বেশী হলে খরচ কম পরবে ।
যোগাযোগঃ
বাংলাদেশ এক্সপেডিশন্স
১০৭/২ ( ৩য় তলা), কাকলী, বনানী, ঢাকা -১২১৩

নিজস্ব ঠিকানাঃ
এক্সপেডিশন্স হোমস্টে এবং Northeast Dhaka Resort

আমদিয়া ইউনিয়ন রোড, বনাইদ পন্ডিত বাড়ী, কান্দাইল, নরসিংদী – ১৬০৩
০১৭১৫০৯৩৪১২, ০১৯৭৬১৭৪৪৩২, info@expeditions-bd.com,
an expedition with us, an experience forever…